বিবাহ ও দাম্পত্য

প্রশ্ন : স্ত্রী পরপুরুষের সাথে অবাঞ্ছিত কথা বলত। স্বামী হুঁশিয়ারী স্বরূপ বলেছিল, যদি এরপর ঐ ব্যক্তির সাথে কথা বল, তাহ’লে তুমি তালাক। কিন্তু স্ত্রী তার সাথে কথা বলা অব্যাহত রাখে। এর ৫/৬ মাস পর স্বামী আবারও অনুরূপ কথা বলে। কিন্তু স্ত্রী তার অভ্যাস পরিবর্তন করেনি। পরে স্বামী তাকে তালাক দেয়। কিন্তু সহবাস বন্ধ করেনি। এক্ষেত্রে স্বামী উক্ত কথা বলার কারণে স্ত্রী কি তালাক হয়েছে? যদি তালাক হয়ে থাকে তবে ক’টি তালাক হয়েছে? এ মুহূর্তে স্ত্রীকে কি পুনরায় বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে হবে?

উত্তর : শর্তসাপেক্ষে তালাক প্রদানকালে যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে থাকে তবে দুই বারে দু’টি তালাক হয়েছে এবং একটি তালাক অবশিষ্ট আছে। এক্ষণে যেহেতু শারঈ পন্থায়
ইদ্দতের মধ্যে রাজ‘আত করা হয়নি সেহেতু নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে
পারবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২০/৮৬)। আর যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া শাসনের উদ্দেশ্যেও ‘তালাক’ বলে থাকে, তবুও জুমহূর বিদ্বানের মতে তালাক হয়ে যাবে। কেননা তালাক কোন তুচ্ছ বা তামাশার বিষয় নয়।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, তিনটি বিষয় রয়েছে যেগুলি বাস্তবে বা ঠাট্টাচ্ছলে করলেও তা ধর্তব্য। আর তা হ’ল বিবাহ, তালাক এবং স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া (আবূদাউদ হা/২১৯৪; মিশকাত হা/৩২৮৪, সনদ হাসান)

অবশ্য ইবনু তায়মিয়াহ ও উছায়মীন (রহঃ) সহ কতিপয় বিদ্বান মতপ্রকাশ করেছেন যে, স্রেফ স্ত্রীকে শাসনের নিয়ত থাকলে এবং প্রকৃতপক্ষে তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না। সেক্ষেত্রে তাকে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে (ইবনু ‘তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/৮৩; উছায়মীন, ফাতাওয়া আল-মারআতুল মুসলিমাহ ২/৭৫৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২০/৮৬)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button