বিবাহ ও দাম্পত্য

প্রশ্ন : আমি দশ বছর পূর্বে স্বামী থেকে একটি কন্যাসহ তালাকপ্রাপ্তা হয়েছি। পরে আমি অন্যত্র বিবাহিতা হই। আমার দ্বিতীয় স্বামী আমার মেয়েকে প্রতিপালন করে। এক্ষণে আমার মেয়ের বিয়েতে আমি বা তার পালক পিতা কি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে? পূর্বের স্বামী দাবী করলে করণীয় কী?

উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবক পিতাই হবেন। যদিও স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা
হন। পালক পিতা নিজ পিতার স্থলাভিষিক্ত হ’তে পারবেন না, যদিও তিনি লালন-পালন
করে থাকেন। এক্ষণে মূল পিতা যদি মেয়ের অলী হ’তে ইচ্ছুক হন, তবে তিনিই
অভিভাবক হবেন। আর যদি ইচ্ছুক না হন, তাহ’লে সরকারের পক্ষে আদালত বা কাযী
অভিভাবক হয়ে বিয়ে দিবেন। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার অলী নেই, শাসক তার
অলী’ (ইবনু মাজাহ হা/১৮৭৯; মিশকাত হা/৩১৩১)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে মহিলা তার অলীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, বাতিল
এবং বাতিল। যদি এরপর স্বামী তার সাথে সহবাস করে তবে স্ত্রী মহরানার হকদার হবে; যেহেতু তার স্বামী তার লজ্জাস্থানকে হালাল মনে করে ভোগ করেছে। আর অলী তথা অভিভাবকরা যদি বিবাদে লিপ্ত হয়, তবে যার অভিভাবক নেই তার অলী বা
অভিভাবক হবে দেশের শাসক (মিশকাত হা/৩১৩১)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন নারী কোন নারীকে বিবাহ দিতে পারে না এবং কোন নারী নিজেকে নিজে বিবাহ দিতে পারে না। এরূপ করলে সে ব্যভিচারিণী হিসাবে গণ্য হবে’ (দারাকুৎনী হা/৩৫৮৪; ইরওয়া হা/১৮৪১)

প্রশ্নের আলোকে মূল পিতা অভিভাবক হিসাবে তার দায়িত্ব পালন না করলে আল্লাহর নিকটে গোনাহগার হবে। আর পালক পিতা নেকীর হকদার হবেন। পালক মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে তিনি শরী‘আত মেনে কাজ করবেন।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button