বিবাহ ও দাম্পত্য

প্রশ্ন : বিবাহের পূর্বে দেনমোহর নিয়ে অভিভাবকের সাথে পাত্রের বনিবনা না হওয়ায় বিবাহ ভেঙ্গে যায়। পরে তারা পালিয়ে গিয়ে কাযী অফিসের মাধ্যমে বিবাহ করে। কিছুদিন পর যুবকটি তাকে তিন মাসে তিন তালাক দেয়। এক্ষণে তারা পুনরায় সংসার করতে ইচ্ছুক। তাদের জন্য করণীয় কি?

উত্তর : বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। সেকারণ তালাক প্রযোজ্য হবে না। কেননা কন্যার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ বৈধ নয় (ইবনু মাজাহ হা/১৮৭৯; মিশকাত হা/৩১৩১, ৩১৩৭)

অতএব যতদিন তারা বসবাস করেছে, ততদিন তারা ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল। এক্ষণে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে চাইলে প্রথমে অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করবে। অতঃপর অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে শরী‘আসম্মতভাবে বিবাহের সার্বিক কার্যাবলী সম্পন্ন করবে।

মা‘কিল বিন ইয়াসার (রাঃ)-এর বোনকে তার স্বামী তালাক দেওয়ার পর ইদ্দত শেষ হ’লে তার নিকটে আবার বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু মা‘কিল তাতে অমত করে। এসময় আয়াত নাযিল হয়- ‘আর যখন তোমরা স্ত্রীদের (রাজ‘ঈ) তালাক দাও। অতঃপর তাদের ইদ্দত পূর্ণ হয়ে যায়। তখন তারা উভয়ে যদি ন্যায়ানুগভাবে পরস্পরে সম্মত হয়, সে অবস্থায় স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের বিয়ে করতে চাইলে তোমরা তাদের বাধা দিয়ো না’ (বাক্বারাহ ২/২৩২; বুখারী হা/৫৩৩১)। উক্ত ঘটনার মাধ্যমে বিবাহের ক্ষেত্রে একদিকে অভিভাবকের অনুমতির গুরুত্ব, অন্যদিকে পাত্রীর পসন্দ মেনে নেওয়ারও গুরুত্ব ফুটে উঠেছে।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button