ইসলাম ও হিন্দুধর্ম সম্পর্কে হিন্দুগনের প্রশ্ন

হিন্দুগন বিবেচনায় মূর্তি

প্রশ্ন:- হিন্দুগন বলেন মূর্তি হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার আরাধনার জন্য প্রথম পর্যায় ও মনোযোগ আকর্ষনের মাধ্যম, মনোযোগ এলে আর মূর্তির প্রয়োজন হয়না?

✔ জবাব:- মনোসংযোগের অজুহাত-
হিন্দু শাস্ত্র বিশারদ ও বিজ্ঞ পন্ডিতগন সকলে একবাক্যে স্বীকার করেন সৃষ্টিকর্তার কোন আকার বা র্মূতি নেই, তিনি নিরাকার। কিছু বলেন প্রত্যেক হিন্দুদের আকৃতিবিহিন পালনকর্তার আরাধনা করা উচিৎ কিন্তু কেউ বলেন সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রে যাদের মনোযোগের দৃঢ়তা কম তাদেঁর জন্য মূর্তি দরকার আর যাদের পূর্ন মনোসংযোগ আছে তাদেরঁ মূর্তি নিষ্প্রয়োজন। তবে আমি বলি মুসলিমগন উচুঁ মনোযোগে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে তাদের মূর্তির প্রয়োজন হয়না। অনেক হিন্দু পন্ডিত বলেন বাচ্চাদের সামনে মূর্তি থাকলে বোঝানো সহজ হয়।
মিথ্যা শিক্ষা-
অনেক সময় বজ্রপাত হলে বাচ্চারা মা-বাবাকে জিজ্ঞেস করে বজ্রপাতের কারন কি তখন তারাঁ খেলাচ্ছলে জবাব দেন তোমার দাদী আকাশে আটা পিষলে বজ্রপাত হয়। আমি বলি ইসলামে মিথ্যা বলা হারাম এমনকি সেটা যত ক্ষুদ্রই হোক ও হাস্যকর হলেও। আপনার বাচ্চা পরবতীতে স্কুলে যাবার পর যখন শিখবে মেঘের ঘর্ষনের কারনে বজ্রপাত হয় তখন মা-বাবা সম্পর্কে সে একটা ভুল ধারনা করবে যে-তার মা-বাবা মিথ্যা শিক্ষা দিয়েছে।
১+১=?
ধরুন ১+১=২ ক্লাস ওয়ানেও যেমন মাষ্টার্স বা পি.এইপ.ডি-তে তেমন ১+১=২। একই ফমূর্লা। কোন গরমিল নেই, সুপরিষ্কার। একটাই নিয়ম। আপনি নিয়ম পরিবর্তন করতে পারেননা। তবে কি আপনি আপনার বাচ্চাকে বলেন ক্লাস ওয়ানে ১+১=৪ শিখ যখন তুমি ডিগ্রি পাশ করবে তখন ১+১=২ হবে?
হিন্দুশাস্ত্র কি বলে?-
আপনি যদি হিন্দুদের প্রধান শাস্ত্র পড়েন যাযুরবেদে উল্লেখ রয়েছে-
‘‘না কাছিয়া প্রতিমাআস্থি’’
অর্থাৎ তাঁর কোন ছবি নেই। অধ্যায়-৩২,শ্লোকা-৩
‘‘তিনি আকৃতিহীন ত্রবং পবিত্র’’। যাযুরবেদ অধ্যায়-৪, শ্লোকা ৮
‘‘অন্ধাত্নম্মা প্রভিশান্তি ইয়া আসামভুতি মুপাস্তে’’।
অর্থাৎ ‘‘তারা অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা প্রকৃতি পুজা করে (যেমন আকাশ, পানি, আগুন ইত্যাদি) আরো বলা হয়েছে তারা আরো গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় যারা সৃষ্টি জিনিষ পুজা করে (যেমন- ঠেবিল, চেয়ার,মূর্তি)।’’ যাযুরবেদ অধ্যায়-৪০,শ্লোকা-৯

সুত্রঃ মূল: ড. জাকির নায়েক
অনুবাদ: শাহরিয়ার আজম

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য লিখা

Back to top button