অন্যান্য

প্রশ্ন : আমি কুরআন মাথায় নিয়ে একটি বিষয়ে ওয়াদা করেছিলাম। কিন্তু তা ভঙ্গ হয়ে গেছে। এক্ষণে আমার করণীয় কি?

উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী ওয়াদাকারী আল্লাহর নামে ওয়াদা করেছেন, যা কসমের শামিল। অতএব এক্ষেত্রে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে।

আর কসম ভঙ্গের কাফফারা হ’ল দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য খাওয়ানো অথবা বস্ত্র দান করা অথবা একটি দাস মুক্ত করা। এতে অসমর্থ হ’লে তিন দিন ছিয়াম পালন করা (মায়েদাহ ৫/৮৯)

মাথায় কুরআন রেখে বা কুরআনে হাত রেখে কসম করা জায়েয নয়। এটি রাসূল (ছাঃ) বা তাঁর ছাহাবীগণ করেননি।

বরং ইমাম শাফেঈ (১৫০-২০৪ হি.) বলেন, ইয়ামনের রাজধানী ছান‘আর বিচারপতি মুত্বার্রিফ বিন মাযেন (মৃ. ১৯১ হি.)-কে শপথের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য আমি এটি করতে দেখেছি’ (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, মাসআলা নং ৮৪৩৩, ১০/২০৭)

বরং যে কোন কসম আল্লাহর নামেই করতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করল, সে শিরক করল’ (তিরমিযী হা/১৫৩৫; মিশকাত হা/১৪১৯; ছহীহাহ হা/২০৪২)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button