আক্বীদাহ

মৃত ব্যক্তিকে দাফন করে কবরের কাছে কুরআন পাঠ করার বিধান কি? বা ইছালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে মৃতের গৃহে কুরআন পাঠ করার জন্য হাফেয-কারীদের ভাড়া করে নিয়ে আসার হুকুম কি?

প্রশ্ন: মৃত ব্যক্তিকে দাফন করে কবরের কাছে কুরআন পাঠ করার বিধান কি? বা ইছালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে মৃতের গৃহে কুরআন পাঠ করার জন্য হাফেয-কারীদের ভাড়া করে নিয়ে আসার হুকুম কি?

উত্তর: মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার কবরের কাছে কুরআন পাঠ করা একটি বিদআতী কাজ। কেননা এধরণের কাজ রাসূল (ﷺ) এর যুগে ছিল না। তিনি এরূপ করেন নি করার আদেশও করেন নি। বরং দাফনের পর কি করতে হয় তা বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। নবী (ﷺ) কোন ব্যক্তিকে দাফন করার পর সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়াতেন এবং বলতেন, তোমাদের মৃত ভায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তার দৃঢ়তার জন্য দুআ কর, কেননা এখনই সে জিজ্ঞাসিত হবে। (আবু দাঊদ)

কবরের কাছে কুরআন পাঠ করা যদি শরীয়ত সম্মত হত বা তাতে কোন কল্যাণ থাকত তবে অবশ্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম সে নির্দেশ দিতেন এবং দলীল পাওয়া যেত। অনুরূপভাবে কোন গৃহে হাফেয-কারীদেরকে একত্রিত করে কুরআন পাঠ করে তা মৃতের রূহে বখশে দেয়াও একটি বড় ধরনের বিদআতী কাজ। শরীয়তে যার কোন দলীল নেই। সালাফে ছালেহীন তথা ছাহাবায়ে কেরামের কেউ একাজ করেননি।

একজন মুসলিম ব্যক্তি যখন কোন বিপদে পড়বে বা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হবে তখন সে ধৈর্য ধারণ করবে এবং আল্লাহর কাছে এর প্রতিদান আশা করবে। আর ধৈর্য ধারণকারীদের মত দুআ করবে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন, আল্লাহুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখলুফলী খাইরান্মিনহা। (শায়খ ইবনু ঊছাইমীন)

সংকলক: শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button