সালাত / নামায

প্রশ্ন : জনৈক ইমাম ষাড়ের প্রজননের বিনিময়ে টাকা উপার্জন করেন। এরূপ কাজ জায়েয হবে কি? যদি এরূপ উপার্জন হারাম হয়, তাহ’লে ঐ ইমামের পিছনে ছালাত হবে কি?

উত্তর : ষাড়ের প্রজননের বিনিময়ে টাকা উপার্জন করা তথা ব্যবসা হিসাবে গ্রহণ করা হারাম। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ষাড়ের প্রজননের বিনিময়ে উপার্জন করতে নিষেধ করেছেন’ (বুখারী হা/২২৮৪; মিশকাত হা/২৮৫৬ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)

জাবের (রাঃ) বলেন, উট দ্বারা পাল দিয়ে তার মজুরী গ্রহণ করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম হা/১৫৬৫; মিশকাত হা/২৮৫৭)

তবে প্রয়োজনে শর্তহীনভাবে সম্মানী বা হাদিয়া স্বরূপ কিছু গ্রহণ করা যেতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৫/৭৪-৭৫)

যেমন হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, বনু কিলাবের জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-কে ষাড়ের পাল বা প্রজননের মজুরীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে তা করতে নিষেধ করলেন। তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা ষাড়ের পাল দেয়ার বিনিময়ে কিছু হাদিয়া পেয়ে থাকি। তখন তিনি তাকে হাদিয়া গ্রহণের অনুমতি দিলেন’।(তিরমিযী হা/১২৭৪; মিশকাত হা/২৮৬৬, সনদ ছহীহ)। অতএব নিছক ব্যবসা হিসাবে এটি করা যাবে না।

প্রশ্নমতে যে ইমাম এমন কাজ করেন, তাকে নছীহত করতে হবে। যদি হাদীছ জানার পরেও না মানেন, তাহ’লে তাকে অপসারণ করা যাবে। তবে তার পিছনে ছালাত আদায় হয়ে যাবে। কেননা একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button