অনেক মহিলা পোশাক পরিধান করে। যার সামনে, পিছনে ও উভয় পার্শ্বে খোলা থাকে। ফলে পায়ের অনেকাংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়। এদের কথা হচ্ছে, আমরা তো শুধু নারীদের সামনেই এরূপ পোশাক পরিধান করি? এদের এই পোশাকের বিধান কি?
আমি যা সঠিক মনে করি তা হচ্ছে নারী এমন পোশাক পরিধান করবে, যা তার শরীরের সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখবে। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) উল্লেখ করেছেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর যুগে নারীরা এমন ধরণের কামিছ পরিধান করতেন যা পায়ের টাখনুদ্বয় এবং হাতের কব্জিদ্বয় পর্যন্ত প্রলম্বিত হত। অতএব নারীর উপর আবশ্যক হচ্ছে নিজ সম্ভ্রমের প্রতি যত্নবান হওয়া। এমন পোশাক পরিধান করা যা তার শরীরকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দিবে। যাতে করে সে নিম্ন লিখিত এই হাদীছের আওতাভুক্ত না হয়। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلاتٌ مَائِلاتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلا يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا
“দু’ধরণের জাহান্নামী লোক। এদেরকে আমি এখনো দেখিনি। একদল, যাদের হাতে গরুর লেজের ন্যায় লাঠি থাকবে। লোকদেরকে তারা প্রহার করবে। দ্বিতীয় দল, এমন নারী যারা পোশাক পরিধান করা সত্বেও যেন উলঙ্গ থাকে। তারা লোকদেরকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করে, অহংকারের সাথে হেলে-দুলে চলে। তাদের মাথাগুলো যেন হেলে যাওয়া উটের চুঁড়ার মত। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, তার সুঘ্রাণও পাবে না। নিশ্চয় জান্নাতের সুঘ্রাণ এত এত দূর থেকে পাওয়া যায়।”
সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম।
লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।