ফাতাওয়া আরকানুল ইসলামহজ্জ ও উমরা

প্রশ্ন: (৪৫৭) মৃতের পক্ষ থেকে উমরা আদায় করা কি জায়েয?

উত্তর: মৃতের পক্ষ থেকে হজ বা উমরা আদায় করা জায়েয। অনুরূপভাবে তাওয়াফ এবং যাবতীয় নেক আমল তার পক্ষ থেকে আদায় করা জায়েয। ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বাল রহ. বলেন, যে কোনো নৈকট্যপূর্ণ কর্ম সম্পাদন করে যদি তার সাওয়াব জীবিত বা মৃতের জন্য দান করে দেয়, তবে সে উপকৃত হবে। কিন্তু সাওয়াব দান করার চাইতে মৃতের জন্য দো‘আ করা বেশি উত্তম। দলীল হচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, তিনি বলেন,

«إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلا مِنْ ثَلَاثَةٍ إِلا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ».

“মানুষ মারা গেলে তিনটি আমল ছাড়া তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। ১) সাদকায়ে জারিয়া ২) উপকারী ইসলামী বিদ্যা ৩) সৎ সন্তান, যে তার জন্য দো‘আ করবে।”[1] এ হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ বলেন নি, সৎ সন্তান, যে তার জন্য ইবাদত করবে বা কুরআন পড়বে বা সালাত পড়বে বা উমরা করবে বা সাওম রাখবে ইত্যাদি। অথচ হাদীসটিতে প্রথমে দু’টি আমলের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। যদি মৃতের জন্য আমল করা উদ্দেশ্য হত, তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই বলতেন, “এবং সৎ সন্তান, যে তার জন্য আমল করবে।” কিন্তু মানুষ যদি কোনো নেক আমল করে তার সাওয়াব কারো জন্য দান করে দেয়, তবে তা জায়েয।

[1] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: ওসীয়ত, অনুচ্ছেদ: মৃত্যুর পর মানুষের কাছে যে সাওয়াব পৌঁছে থাকে তার বর্ণনা।

 

 

সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম।
লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button