দু’ঈদের নামাযের পদ্ধতি কিরূপ?
দু’ঈদের নামাযের পদ্ধতি হচ্ছেঃ প্রথমে ইমাম উপস্থিত লোকদের নিয়ে দু’রাকাত নামায আদায় করবে। প্রথম রাকআতে তাকবীরে তাহরিমা দেয়ার পর অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর দিবে। তারপর সূরা ফাতিহা পাঠ করবে এবং সূরা ‘ক্বাফ’ পাঠ করবে। দ্বিতীয় রাকাতে তাকবীর দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়বে এবং সূরা পাঠ শুরু করার পূর্বে অতিরিক্ত পাঁচটি তাকবীর প্রদান করবে। তারপর সূরা ফাতিহা পাঠ করে সূরা ‘ক্বামার’ পাঠ করবে। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ঈদের নামাযে এ দু’টি সূরা পাঠ করতেন। অথবা ইচ্ছা করলে প্রথম রাকাতে ‘সূরা আ‘লা’ এবং দ্বিতীয় রাকাতে ‘সূরা গাশিয়া’ পাঠ করবে।
জেনে রাখুন, জুমআ ও ঈদের নামায দু’টি সূরার ক্ষেত্রে একই, আর দু’টি সূরার ক্ষেত্রে পৃথক। যে দু’টি সূরা উভয় নামাযে পাঠ করতে হয় তা হচ্ছে: ‘সূরা আল আ‘লা’ ও ‘সূরা গাশিয়া’। আর যে দু’টি সূরার ক্ষেত্রে এ দু’নামায পৃথক তা হচ্ছে: ঈদের নামাযে পাঠ করতে হয়, সূরা ‘ক্বাফ’ ও সূরা ‘ক্বামার’। আর জুমআর নামাযে পাঠ করতে হয় সূরা ‘জুমআ’ ও সূরা ‘মুনাফিকূন’। প্রত্যেক ইমামের জন্য উচিৎ হচ্ছে, এ নামাযগুলোতে উক্ত সূরা সমূহ পাঠ করার সুন্নাতকে পূনর্জীবিত করা। যাতে করে মুসলমানগণ তা জানতে পারে এবং কেউ তা পাঠ করলে যেন প্রতিবাদ না করে।
তারপর নামায শেষ করে ইমাম খুতবা দিবেন। উচিৎ হচ্ছে খুতবায় নারীদেরকে বিশেষভাবে নসীহত করবে। তাদেরকে সৎ কাজের নির্দেশনা দিবে অসৎ কাজের ভয়াবহতা বর্ণনা করবে ও তা থেকে নিষেধ করবে।
সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম।
লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।